নিউজ ডেস্ক: টেনেসিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিঙ্গ শনাক্ত করার ‘চিকিৎসা সেবা’ নিষিদ্ধ করতে রিপাবলিকান সমর্থিত আইন বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার, বিচারপতিদের ৬-৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে, স্টেইটের আইনটি বহাল রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। ট্রান্স শিশুদের হরমোন থেরাপি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সীমিত করে ২০২৩ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে, রিপাবলিকান শাসিত স্টেইট—টেনেসি। বাইডেন প্রশাসন প্রথমে এর বিরোধিতা করলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে আবারো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিঙ্গ রুপান্তর নিষিদ্ধ সংক্রান্ত আইনটি।
এসবি-ওয়ান নামে ওই বিতর্কিত আইনটি এবার সমর্থন পেল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। বুধবার, ইউএস ভার্সেস স্করমেটি মামলার শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান, সুপ্রিম কোর্টের ছয় রক্ষণশীল বিচারপতি। এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের সমান অধিকারের ধারা লঙ্ঘন করে না বলে, রায়ের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তারা।
প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস জানান, আইনটি সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী লঙ্ঘন করছে এমন অভিযোগের বিপরীতে, জোরালো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, এটি আসলে চিকিৎসার বিষয়ে স্টেইট সরকারের একটি সাধারণ নিয়ম, যেখানে ছেলে বা মেয়ের পরিচয়ের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা হয়নি।
অন্যদিকে, এই রায়টি নিয়ে অধিকারকর্মী ও চিকিৎসকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আকলুর এলজিবিটিকিউ অ্যান্ড এইচ আই ভি প্রোজেক্টের কো-ডিরেক্টর চেয স্ট্যানজিও বলছেন, এর ফলে দেশের কয়েক হাজার রূপান্তরিত লিঙ্গের কিশোর-কিশোরী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, লিঙ্গ-নিশ্চিতকরণ সেবা ট্রান্সজেন্ডারদের হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। তবে, আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বয়স ও লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্যকে উসকে দিতে পারে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
টেনেসিসহ ২৬টি স্টেইট ট্রান্স শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সংকুচিত করার পর, প্রথমবার এমন নিষেধাজ্ঞা বহালের সিদ্ধান্ত আসলো সুপ্রিম কোর্ট থেকে। ফলে, ভবিষ্যতে স্টেইট ভিত্তিক এমন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানো আরও কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন, আইনজীবীরা।

