বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

অকাল বার্ধক্যের অন্যতম কারণ যে দুইটি খাবার, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
অকাল বার্ধক্যের

অকাল বার্ধক্যের অন্যতম কারণ দুইটি খাবার। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্যাফেইন ও চিনি যেন অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। সকালবেলার এক কাপ কফি বা ক্লান্তির সময় মিষ্টি কিছু খাওয়ার অভ্যাসকে অনেকেই স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু এগুলো অজান্তেই শরীর ও মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে এমনটাই জানালেন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় ভোজরাজ। তার মতে, ক্রেভিং মানেই সেটা ক্ষুধা নয়, এটি আসলে শরীরের সংকেত যে আপনি ভুল খাবার খাচ্ছেন।

অকাল বার্ধক্যের অন্যতম কারণ যে দুইটি খাবার

ডা. ভোজরাজ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, উচ্চ মাত্রায় চিনি ও ক্যাফেইন গ্রহণ শুধু সাময়িক এনার্জি দিলেও, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তায় জানান, এগুলো শরীরকে প্রদাহ ও মানসিক চাপে ঠেলে দেয়, যা অজান্তেই বার্ধক্যের গতি বাড়িয়ে দেয়।

চিনি:

রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা ধমনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই ধমনিতে সমস্যা তৈরি হয়।

ক্যাফেইন:

উত্তেজনা সৃষ্টির কারণে স্নায়ুতন্ত্র সবসময় ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট’ অবস্থায় আটকে থাকে। এতে কর্টিসল হরমোন ও রক্তচাপ বাড়ে, আবার শরীর স্বাভাবিক বিশ্রাম থেকেও বঞ্চিত হয়।

সমন্বিত প্রভাব:

চিনি ও ক্যাফেইন একসঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করে এবং শরীরকে অকাল বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। এমনকি যারা বাইরে থেকে দেখতে সুস্থ, তাদের ক্ষেত্রেও।

এই ক্ষতিকর চক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব জানালেন বিশেষজ্ঞ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনে মাত্র ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। তার ভাষায়, আমি দেখেছি রোগীদের রক্তচাপ কমেছে, ঘুম গভীর হয়েছে এবং পরীক্ষার রিপোর্টেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ক্রেভিং দুর্বলতা নয়, এটি সংকেত। আর সুখবর হলো এই সংকেতের জবাব আপনি পরিবর্তনের মাধ্যমেই দিতে পারবেন।

চিনি ও ক্যাফেইন কমানোর পাশাপাশি বিকল্প খাবার গ্রহণই হতে পারে সমাধান। যেমন সাদা পাউরুটির বদলে হোল গ্রেইন, আইসক্রিমের বদলে ফল, বা চিনিযুক্ত পানীয়র বদলে প্রাকৃতিক জুস ও পানি। ছোট ছোট পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদে শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য কার্যকর হতে পারে। ডা. ভোজরাজের মতে, শরীরের যত্ন নেওয়া শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং অকাল বার্ধক্য ঠেকানোরও অন্যতম উপায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখনই সময়।