ফাল্গুন ও চৈত্র, এ দু মাস মিলে বসন্তকাল। বসন্তের প্রথম দিন পহেলা ফাল্গুন হিসেবে পরিচিত। শীতের শুষ্কতা আর জীর্ণতার অন্ধকারকে ঘুচিয়ে নবীন আলোর প্রভাত নিয়ে আসে ফাল্গুন।
শীতের আমেজ এখনো কাটেনি। গাছ থেকে পুরোনো পাতা ঝরছে, আর সেই পাতাঝরার ভেতরেই লুকিয়ে আছে নতুন পাতার আগমনী বার্তা। প্রকৃতির সেই নতুন সাজের সঙ্গে মিল রেখেই আসছে ফাল্গুন। এ সময়টায় প্রকৃতি যেমন রঙিন হয়, তেমনি মানুষও আপন সাজে সেজে ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, রমনা, বইমেলা প্রাঙ্গণ কিংবা ধানমন্ডি লেক—সব জায়গায়ই ফাল্গুনের আবহে ভরে ওঠে। চারপাশে চোখে পড়ে হলুদ-বাসন্তি শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবিতে সেজে ওঠা তরুণ-তরুণী।
ফাল্গুনের রঙের গল্প

বাংলাদেশে ফাল্গুন মানেই হলুদ, বাসন্তি আর গেরুয়ার শাড়ি-পাঞ্জাবি। তবে এখন ভ্যালেন্টাইন ডের কারণে এই তালিকায় জুড়েছে লালের ছোঁয়াও। একদিকে বাসন্তি রঙ বৈরাগ্যের প্রতীক, অন্যদিকে লাল হলো প্রেম-ভালোবাসা ও আবেগের রঙ। ফলে আজকের ফাল্গুনে এই দুই রঙ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
ডিজাইনার সিজান সজল বলেন—
“আগে শুধু ফাল্গুন মানেই বাসন্তি-গেরুয়া রঙের পোশাক। এখন ভ্যালেন্টাইনের কারণে লালও যুক্ত হয়েছে। ফলে বাসন্তি আর লালের মিশ্রণেই তৈরি হচ্ছে আজকের ফাল্গুন।”
তরুণদের ফ্যাশনে বসন্ত

শিমুল, পলাশ, গাঁদার সঙ্গে আজকাল গোলাপ ও রজনীগন্ধাও জায়গা করে নিয়েছে তরুণীদের চুলে। সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বা লেহেঙ্গায় ফুলেল নকশা—সবই মানানসই। অন্যদিকে তরুণরা পরতে পারেন হালকা কটন বা সিল্কের পাঞ্জাবি, যেটাতে থাকবে ফাল্গুনের রঙের ছোঁয়া।
শেষ কথা

প্রিয়জন থাক বা না থাক, ফাল্গুন মানেই রঙের উৎসব, প্রাণের উৎসব। তাই এই ফাল্গুনে সবাই হোক প্রকৃতির মতোই রঙিন, প্রাণবন্ত।