ফ্রান্স ইউক্রেনে ২ হাজার সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রুশ পররাষ্ট্র গোয়েন্দা সংস্থা (এসভিআর) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। খবর আনাদোলুর।
এসভিআর- এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাহিনীর মূল অংশ গঠিত হবে ফরাসি ফোরেন লিজিয়নে স্টর্মট্রুপার বা আক্রমণ বাহিনী দিয়ে, যাদের অধিকাংশই লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে এসেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে লিজিয়নের সদস্যরা ইউক্রেন সীমান্তসংলগ্ন পোল্যান্ডের এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে তারা তীব্র যুদ্ধ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণ করছে। তাদের শিগগিরই ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলে মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
এসভিআর আরও বলছে, ফ্রান্সের হাসপাতালগুলো আহত সেনাদের চিকিৎসার জন্য শত শত অতিরিক্ত শয্যা তৈরি এবং চিকিৎসকদের মাঠ পর্যায়ের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রশিক্ষণ প্রদানেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গোয়েন্দা সংস্থাটি আরও জানায়, এই তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে প্যারিস দাবি করব, এটি কেবলমাত্র ইউক্রেনে পাঠানো একটি ছোট প্রশিক্ষক দলের বিষয়, যারা ইউক্রেনের নবনিযুক্ত সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘(ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল) ম্যাক্রোঁ নাকি নেপোলিয়নের ‘গৌরবমুকুট’-এর স্বপ্ন দেখেন। তবে ইতিহাস বিষয়ে তার জ্ঞান লজ্জাজনকভাবে অগভীর। তিনি শুধু নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান সমাপ্তির অধ্যায়ই বাদ দেননি, বরং সুইডেনের রাজা দ্বাদশ চার্লস কীভাবে বিশ্বাসঘাতক হেটম্যান ইভান মাজেপার সহযোগিতায় রাশিয়াকে পরাস্ত করার চেষ্টা করে পোলতাভায় পরাজিত হয়েছিলেন — সেই অংশটিও এড়িয়ে গেছেন। ম্যাক্রোঁর উচিত মহান রুশ ইতিহাসবিদ ভাসিলি ক্লিউচেভস্কির সেই বিখ্যাত উক্তিটি মনে রাখা — ‘‘ইতিহাস কোনো শিক্ষা দেয় না, এটি কেবল অজ্ঞতাকে শাস্তি দেয়’’।’


