বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

ইরানের নিজস্ব নকশায় তৈরি ‘সিমোর্গ’ বিমানের বৈশিষ্ট্য কী?

বুধবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

বিশ্বের ২০টির কম দেশ নিজস্ব নকশায় বিমান তৈরি করতে পারে। সেখানের একটি হয়ে আরেকবার চমক দিয়েছে ইরান। দেশট সফলভাবে ‘সিমোর্গ’ নামের কার্গো বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেছে। বিমানটি পণ্য, সেনা ও যাত্রী পরিবহনেও কাজে লাগাতে চায় ইরান।

দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (সিএএ) প্রধান হোসেইন পুরফারজানেহ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জানান, সিমোর্গ তৈরির ‘দেশীয়করণ প্রক্রিয়া’ প্রায় ১৫ বছর ধরে চলছিল। ইরান এখন বিশ্বের ২০টিরও কম সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি, যারা নিজস্ব নকশায় বিমান তৈরি করতে সক্ষম।

সিমোর্গ নামটি ফারসি পুরাণ ও সাহিত্যের এক পৌরাণিক পাখি সিমোর্গ-এর নামে রাখা হয়েছে। যা মূলত শক্তির প্রতিক। সিমোর্গে রয়েছে দুটি ২,৫০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন। যা তাকে শক্তিশালী করছে। এটি ৬ মেট্রিক টন পণ্য ৩,৯০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত বহন করতে পারে। এর সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ২১.৫ মেট্রিক টন।

দ্রুত, হালকা ও চটপটে বিমান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে সিমোর্গকে। যার উচ্চ পণ্যবহন ক্ষমতা এবং ইরানের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা রয়েছে। এজন্য এটি জরুরি চিকিৎসা পরিবহনসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবার জন্য আদর্শ বলে মনে করা হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, বিমানটি ইরানের স্থল ও নৌবাহিনীর পরিবহন সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। যাতে তারা সহজে দেশের বিভিন্ন ঘাঁটির মধ্যে সেনা বা সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারে। তারা যাত্রী পরিবহনেও বিমানটি ব্যবহার করতে চায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিমোর্গ মূলত IrAn-140 মডেলের একটি সংশোধিত সংস্করণ। যা ইউক্রেনের আন্তোনভ An-140 নকশার ওপর ভিত্তি করে বানানো। তবে অনেক সাবেক সিএএ কর্মকর্তা এই মতের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, সিমোর্গ একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন নকশার বিমান, যার ইঞ্জিন ও কাঠামো নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে।

সিএএ জানিয়েছে, বিমানটিকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ১০০ ঘণ্টা পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন করতে হবে। যাতে এটি ইরানের বিমানবহরে যোগ দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমতি পায়। বিমানটি প্রথম দ্রুত ট্যাক্সি টেস্ট সম্পন্ন করে মে ২০২২ সালে। এবার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।