শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

ইসরাইলের ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ থামাতে একমাত্র ট্রাম্পই সক্ষম: প্রিন্স তুর্কি

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

সাবেক সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আল আরাবিয়া ইংলিশের ডব্লিউ নিউজ প্রোগ্রামে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাসের ২০২৩ সালের অক্টোবরে চালানো হামলার পর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান ‘পরিষ্কারভাবে গণহত্যার উদাহরণ।’

প্রিন্স তুর্কি সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ঢেউকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব দেশ যেন স্বীকৃত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব ও ফ্রান্স কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিলেও এখন যুক্তরাষ্ট্রকেই এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে, কারণ ইসরাইলকে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করার মতো শক্তি কেবল ওয়াশিংটনের হাতেই আছে।

ইসরাইলের যে অভিযোগ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা—এ বিষয়ে প্রিন্স তুর্কি দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, হামাসের আসল পুরস্কার আসে ইসরাইলের নিপীড়ন থেকে। ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনিদের অধিকার কেড়ে নেয় ও তাদের দমন করে, তখনই হামাস জনপ্রিয়তা পায়। রাষ্ট্র স্বীকৃতি নয়, বরং ইসরাইলি কর্মকাণ্ডই হামাসের বড় পুরস্কার।

তিনি আরও বলেন, ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে আছে। এটিই ইসরাইলের ঘোষিত নীতি।

সম্প্রতি দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ইসরাইলি বিমান হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রিন্স তুর্কি বলেন, এতে তিনি মোটেই বিস্মিত নন। তার ভাষায়, এটাই ইসরাইলের আসল চেহারা—এই অঞ্চলে শান্তির সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে এক বিশ্বাসঘাতক ও অবিশ্বস্ত রাষ্ট্র। ইতিহাস জুড়েই ইসরাইল এই অঞ্চলে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে।