মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

উইঘুরদের নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর নীরবতার কারণ জানালেন মানবাধিকার কর্মী

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

চীনের অর্থনৈতিক শক্তি উইঘুরদের পক্ষে মুসলিমদের আওয়াজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উইঘুর আমেরিকান উদ্যোক্তা ও মানবাধিকার কর্মী কুযযাত আলতেয়।

সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় উইঘুরদের ওপর চীনের ধারাবাহিক নির্যাতন সত্বেও মুসলিম দেশগুলোর নির্লিপ্ততা কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রায় অধিকাংশ মুসলিম দেশের সঙ্গে চীনের শক্তিশালী বানিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি রয়েছে। উইঘুরদের পক্ষে কথা বললে এসব চুক্তি রক্ষা করা সম্ভব হবে-না তাই মুসলিম দেশগুলো উইঘুরদের পক্ষে কথা বলতে পারেনা।

কুযযাত আলতেয় আরও বলেন, চীন মুসলিম দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তার করতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে উইঘুর প্রশ্নে এসব দেশের সরকারকে চাপে রাখে এবং মিডিয়াকে উইঘুর সম্পর্কে কথা বলতে বিরত রাখে।

উইঘুর এ মানবাধিকার কর্মী বলেন, সব তথ্যের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে থাকায় মুসলিম দেশগুলো চীনের উত্তর তুর্কিস্তান দখল ও সেখানে গণহত্যার প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত নয়। যদি এসব দেশের মানুষ সঠিক সংবাদ সম্পর্কে অবগত হয় তাহলে তারা আওয়াজ উঠাবে এবং তাদের সরকার জনগনের বিরোধিতারা কারণে চাপে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে এবং চীনের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক পুনঃবিবেচনা করতে বাধ্য হবে।

বক্তব্যে তিনি বিশ্ববাসীকে উইঘুরদের পক্ষে আওয়াজ তুলে তাদের নিপীড়ন থেকে রক্ষার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, চীনের জিনজিয়ান অঞ্চলের ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবির বেশ বড়। স্বাধীন হিসাবমতে, এই শিবিরে ১০ লাখের বেশি উইঘুর নারী-পুরুষ বন্দী আছেন। সেখানকার ব্যবস্থা বেশ গোপনীয়। ফলে শিবিরের ভিতরে কী ঘটে, তার খবরাখবর তেমন বাইরে আসে না।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, চীন সরকার ধীরে ধীরে উইঘুরদের ধর্মীয়সহ অন্যান্য স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। জিনজিয়ানের শিবিরে উইঘুর নর-নারীকে সব সময় কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। শিবিরে তাদের ওপর নানা নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়। সেখানে তাদের প্রজনন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জোর করে তাদের বিশেষ মতবাদ শেখানো হচ্ছে।

তবে চীনের দাবি, এই শিবিরগুলোতে উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পুনঃশিক্ষণের কাজ চলে।