উচ্চ রক্তচাপে (হাইপারটেনশন) ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত প্যারাসিটামল খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। সম্প্রতি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, এই ওষুধটি নিয়মিত সেবনের ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
গবেষণার ফল প্রকাশের পর বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দীর্ঘ মেয়াদে প্যারাসিটামল সেবনের পরামর্শ দেওয়ার আগে সতর্ক হন।
চিরচেনা প্যারাসিটামল কি সত্যিই নিরাপদ?

জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি কিংবা ব্যথা হলেই আমরা অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে নিই। এটি সহজলভ্য ওষুধ হলেও, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং প্রতিদিন প্যারাসিটামল খান, তাদের রক্তচাপ মাত্র চার দিনের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। ফলে তাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
গবেষণার ফলাফল কী বলছে?
গবেষকরা ১১০ জন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ওপর একটি পরীক্ষা চালান।
এদের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন বা ওষুধ খেয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখছিলেন। দেখা গেছে, প্রতি তিনজন রোগীর মধ্যে একজনের দেহে প্যারাসিটামলের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ব্যথা বা অস্বস্তির জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সাধারণ ব্যবহারে সমস্যা আছে কি?

না, সাধারণ জ্বর বা মাঝেমধ্যে মাথা ব্যথার মতো সমস্যার জন্য প্যারাসিটামল সেবনে বড় কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তবে নিয়মিত ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

- ১। ওষুধ কেনার আগে মোড়কে লেখা উপাদান ভালোভাবে পড়ুন।
- ২। প্যারাসিটামল ও ডি-এল মেথিওনিন যুক্ত ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
- ৩। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অন্য বিকল্প ভাবুন।
- ৪। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধও চালিয়ে যান।