কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করা, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে, এবং পা, গোড়ালি বা হাতে ফোলাভাব দেখা দেওয়া।
কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। এটি রক্ত পরিশোধন, টক্সিন ও বাড়তি পানি বের করে দেওয়া, খনিজ ভারসাম্য রক্ষা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপাদনের কাজ করে। তবে কিডনির একটি বড় অসুবিধা হলো, এটি অনেক সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়।
কিডনি রোগের লক্ষণ

তাই প্রাথমিক উপসর্গ চিনে নেওয়া ও গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। চলুন, জেনে নিই কিডনির সমস্যার কিছু সাধারণ লক্ষণ।
প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন
প্রস্রাব খুব গাঢ় বা ফেনাযুক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি বা খুব কম প্রস্রাব হওয়া, রাতে বারবার প্রস্রাব, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।
মুখ ও পা ফোলা

কিডনি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না।
এর ফলে পা, গোড়ালি, হাত বা চোখের নিচে ফোলা ভাব দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ফুলে থাকলে, সেটি উপেক্ষা করবেন না।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে ক্লান্তি আসে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির (রক্তাল্পতা) কারণেও দুর্বলতা বাড়ে।
ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি বমি ভাব
কিডনির সমস্যায় শরীরে টক্সিন জমা হয়। ফলে ক্ষুধা মরে যায়, মুখে ধাতব স্বাদ আসে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে যাওয়া
কিডনি খনিজের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারলে ফসফরাস বেড়ে যায়। এতে ত্বকে চুলকানি ও শুষ্ক ভাব দেখা দেয়।

কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে জমে থাকা পানি ফুসফুসে পৌঁছতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট বা বুক ভারী লাগার সমস্যা হতে পারে।
কিডনি সুস্থ রাখতে যা করবেন:
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
- রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।