শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া এখন এক সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বয়স্করা নয়, আজকাল তরুণ-তরুণীরাও এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। এলডিএল বাড়লে হৃদরোগ, স্ট্রোক এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে শুধু ওষুধ নয়, প্রয়োজন সচেতন খাদ্যাভ্যাস।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবজি থাকাটা খুবই জরুরি। কারণ বেশ কিছু সবজিতে রয়েছে এমন উপাদান, যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কার্যকর।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যেসব সবজি খেতে পারেন
কপিজাতীয় সবজি
ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলি কপিজাতীয় সবজি হিসেবে পরিচিত। এগুলোতে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালিতে জমতে বাধা দেয়। নিয়মিত খেলে শুধু কোলেস্টেরল নয়, হজমশক্তি ভালো থাকে এবং হৃদযন্ত্রও কার্যকরভাবে কাজ করে।
ঢেঁড়স

গ্রীষ্মকালে সহজলভ্য ঢেঁড়স হজমশক্তি বাড়াতে যেমন কার্যকর, তেমনি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন পদ রান্না করে সহজেই নিয়মিত খাওয়া যায়।
বেগুন
সারা বছর পাওয়া যায় এমন জনপ্রিয় সবজি বেগুনেও রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত বেগুন খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
গাজর

গাজরে রয়েছে পেকটিন নামক বিশেষ ফাইবার, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের করে দেয়। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রদাহ কমায় এবং হার্টকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন গাজর সালাদ বা রান্নায় অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী।
পালংশাক

পালংশাক শুধু কোলেস্টেরলই কমায় না, ধমনীতে ব্লকেজও প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল, যা দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। পালং না পেলে অন্যান্য শাক-সবজিও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই জরুরি। সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম মিলেই পারে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে।