ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহজনক এক মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন সেনাবাহিনী ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন ও কয়েক হাজার সেনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এ অভিযানের অংশ হিসেবে এটি ছিল প্রথম রাতের হামলা। হামলাটি রাতে চালানো হয় এবং নৌযানটি ভেনেজুয়েলাভিত্তিক অপরাধচক্র ট্রেন দে আরাগুয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেও তিনি জানান।
যদিও নৌযানটিতে কী বহন করা হচ্ছিল, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেননি হেগসেথ। তিনি প্রায় ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নৌযানটি বিস্ফোরিত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন মাদকচক্রবিরোধী অভিযান নিয়ে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে অবহিত করবে।
তিনি আরও জানান, যুদ্ধ ঘোষণার প্রয়োজন না থাকলেও, এবার স্থলভাগে মাদকচক্রবিরোধী অভিযান চালানো হবে।
সর্বশেষ হামলাসহ যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে কথিত মাদকবাহী নৌযানের ওপর মোট ১০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। পেন্টাগন এ নিয়ে খুব সামান্য তথ্য দিয়েছে। তবে জানিয়েছে—এর কিছু হামলা ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছাকাছি চালানো হয়েছে।
এই হামলাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু আইন বিশেষজ্ঞ ও ডেমোক্র্যাট দলীয় আইনপ্রণেতা। তাদের প্রশ্ন—এসব অভিযান যুদ্ধবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।

