পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগবিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান খুব শিগগিরই তার রাজনৈতিক প্রভাব হারাতে যাচ্ছেন।
গুজরানওয়ালায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সানাউল্লাহ ইমরান খানের শাসনকাল, তার প্রতিষ্ঠানের (এস্টাবলিশমেন্ট) সঙ্গে সম্পর্ক এবং পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার সে সময় ধ্বংস ডেকে এনেছিল।’ সে সময়ের কিছু সিদ্ধান্তের দায় তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজবার ওপরও বর্তায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নওয়াজ শরিফ তার আমলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কখনোই প্রকাশ্যে সমালোচনা করেননি, যা পিটিআইয়ের আচরণের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত।
সানাউল্লাহর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ‘সরিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা থেকেই ইমরান খানের সঙ্গে এস্টাবলিশমেন্টের সংঘাতের সূত্রপাত।
তিনি বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এস্টাবলিশমেন্টকে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিচ্ছিলেন, যা পরবর্তীতে মতবিরোধ সৃষ্টি করে।
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, খানের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা আদায়ের জন্য তিনি এস্টাবলিশমেন্টকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেছিলেন।
দলীয় ভাঙন ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব
রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘পিটিআইয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ সদস্য আর ইমরান খানের রাজনৈতিক পথরেখার সঙ্গে একাত্ম নন।’ তার মতে, পিটিআইয়ের রাজনীতি ধীরে ধীরে এমকিউএম প্রতিষ্ঠাতার বিতর্কিত কৌশলের মতো হয়ে উঠছে, যা শেষ পর্যন্ত সফল হবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, অতীতে ছড়ানো ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার উগ্র রাজনৈতিক বর্ণনারই অংশ, যা দেশের সাধারণ মানুষ কখনোই গ্রহণ করবে না।

