দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ধ্বংস হয়ে গেছে উপত্যকাটির বেশিরভাগ ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ। উপত্যকাটিতে এতটাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যে গাজা পুনর্গঠনে ৫২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা) লাগবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রজেক্ট সার্ভিস অফিসের পরিচালক জোর্গে মোরেইরা দা সিলভা
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, গাজার ৮০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধ শেষ হলে প্রথমে ধ্বংসস্তূপ সরানোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে,গাজা যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পরিকল্পনার প্রথম দফা কার্যকরে ইসরাইল ও হামাস রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘শান্তি চুক্তির অর্থ হল খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরাইল গাজা থেকে তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করবে। এটি শক্তিশালী, টেকসই এবং চিরস্থায়ী শান্তির দিকে প্রথম পদক্ষেপ।’
ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ‘আজ যদি সব পক্ষ ঐকমত্য হয়। তাহলে আজই যুদ্ধবিরতি হবে। সব পক্ষ বন্দি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’
হাকান ফিদান বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এগুলোতে আলোচনার মাধ্যমে অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে। চারটি বিষয় হলো— ইসরাইলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের সীমারেখা, মানবিক সহায়তা এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির শর্ত।