শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

চবিতে এসসিএলএস ল অলিম্পিয়াডে জুলাই আন্দোলনে নিপিড়নের মদদদাতারা

রবিবার, জুলাই ১৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘এসসিএলএস ন্যাশনাল ল’ অলিম্পিয়াড ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টায় চবির একে খান আইন অনুষদে সোসাইটি ফর ক্রিটিকাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস)- এ আয়োজন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। কিন্তু সেখানে অতিথি রাখা হয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও আওয়ামী প্যানেল থেকে বারবার নির্বাচিত শিক্ষক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুককে। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেত্রী আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রকিবা নবী। তারা দুইজনই জুলাই গণ অভ্যূত্থান বিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এমনকি প্রফেসর ড. রকিবা নবী শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন সময়ে জুলাই আন্দোলন চলাকালে জোরপূর্বক ছাত্রীদের হলত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক আওয়ামী পন্থী শিক্ষক নেতা বিতর্কিত ভিসি শিরিন আক্তারের আরেক উপদেষ্টা, নিয়োগ বানিজ্যের অন্যতম হোতা আওয়ামী পন্থী শিক্ষক প্যানেলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম হলুদ দলের স্টেনডিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্য প্রফেসর নির্মল কুমার সাহা। তিনিও জুলাই আন্দোলনের সময় আমানত হলের প্রভোস্ট ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর পূর্বক বের করে দেন।

জুলাই আন্দোলনের পক্ষে নেওয়া শিক্ষকদের বাদ দিয়ে বিভাগের সভাপতি নিজের মতাদর্শের শিক্ষককে অতিথি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন শিক্ষক সমাজ।

তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সমস্ত অপকর্মের মদদদাতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক। উপাচার্য শিরীণ আখতারের উপদেষ্টা ছিলেন এই ফারুক। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগে বেঁচে বেঁচে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। জুলাই আন্দোলনের সময়ও ছাত্রলীগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল অধ্যাপক ফারুক। জুলাই আন্দোলনে রক্তে ভেজা ক্যাস্পাসে এসব স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আরেক সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী অধ্যাপক রকিবা নবীও জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। যার কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রীদের ওপর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের পুর্নবাসন করতে চায় তাহলে শহীদের রক্তের সঙ্গে তারা বেঈমানি করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন বিভাগের এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, ৫ই আগস্টের স্বৈরাচার পতনের দিন পর্যন্ত তারা ছাত্রদের পক্ষে কোন কথা বলেননি। এছাড়া ১৫ আগস্ট তারা দুইজন শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি আপলোড করেন। এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশে এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।