বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

জেন-জি বিক্ষোভের পর কোন পথে হাঁটবে নেপাল

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নেপালের প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করার পর আবারও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছে দেশটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। দরিদ্র হিমালয় রাষ্ট্রটি আবার এক সড়কবাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন সামনে কী হতে পারে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

তাৎক্ষণিক পরবর্তী পদক্ষেপ কী

সেনাবাহিনী সমাধান খুঁজতে আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো—বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া ‘জেন-জি’ প্রজন্মের তরুণ, যাদের কোনো একক নেতৃত্ব নেই। ফলে কর্তৃপক্ষ আসলে কার সঙ্গে কথা বলবে, তা অনিশ্চিত।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বলারাম কে সি বলেচন, ‘জেন-জিদের একটি আলোচনাকারী দল গঠন করতে হবে। এরপর প্রেসিডেন্টকে সেই দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বসে আলোচনা করা উচিত।’

সংবিধান কী বলছে

২০১৫ সালের নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, যেই দলের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে উত্তরসূরি হতে হবে সেই দল থেকেই। যদি কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট এমন একজন সদস্যকে নিয়োগ দেবেন যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম। তাকে ৩০ দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে জিততে হবে।

যদি তাতেও ব্যর্থ হন, তখন যেকোনো সদস্য দাবি করতে পারেন যে তার কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু তিনি আস্থা ভোটে জিততে না পারলে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন করতে হবে।

কিন্তু যেহেতু বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বিক্ষোভকারীদের কাছে ইতিমধ্যেই অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছেন এবং অনেকে আত্মগোপনে আছেন, তাই বিক্ষোভকারীরা এই সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে মানবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়