মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মামলা করার চাপে থাকা এক ফেডারেল প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি এরিক সিবার্ট শুক্রবার কর্মীদের ইমেইল দিয়ে নিজের পদত্যাগের কথা জানান। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, সিবার্ট পদত্যাগ করেননি, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল–এ লিখেছেন, ‘আজ আমি এরিক সিবার্টের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। তাকে সমর্থন করেছিল ভার্জিনিয়ার দুই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ডেমোক্র্যাট সিনেটর। তিনি পদত্যাগ করেননি, আমি বরখাস্ত করেছি!’ পরে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদেরও তিনি বলেন, ‘আমি চাই, সে চলে যাক।’
সিবার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল—তিনি ট্রাম্পের দুই শীর্ষ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমি এবং নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস–এর বিরুদ্ধে মামলা করতে অস্বীকার করেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, সিবার্ট বিচার বিভাগের নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন—কংগ্রেসকে মিথ্যা বলার অভিযোগে কোমির বিরুদ্ধে মামলা করার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। একইভাবে লেটিটিয়া জেমসের বিরুদ্ধে ‘মর্টগেজ জালিয়াতি’র অভিযোগেও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কোমি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করেন। পরে কোমি প্রেসিডেন্টের কড়া সমালোচক হয়ে ওঠেন।
অন্যদিকে, লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্প এবং তার কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন। অভিযোগ, সম্পদের প্রকৃত মূল্য গোপন রেখে ট্রাম্প ব্যাংক ঋণ ও বীমায় সুবিধা নিয়েছিলেন।
এই মামলার বিষয়ে শুক্রবার ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তিনি (জেমস) সত্যিই কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত, তবে আমি নিশ্চিত নই।’
ভার্জিনিয়া মিলিটারি ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক সিবার্ট আগে ওয়াশিংটন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি প্রায় ৩০০ প্রসিকিউটরের একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যারা জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বড় মামলাগুলোতে কাজ করে থাকে।