যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের মুসলিম সিনেটর নাবিলাহ ইসলাম পার্কেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক মজার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির ঐতিহাসিক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার মা এমন এক মন্তব্য করেন, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
জোহরান মামদানি ৩৪ বছর বয়সি একজন ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
নিজের পোস্টে পার্কেস লেখেন, ‘আমার মা বললেন, তুই কেন জোহরানের মতো মেয়র হতে পারিস না?’—এরপর মজার ছলে বলেন, তার মা নাকি তার বর্তমান পদ (স্টেট সিনেটর) নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন, বলেছেন, ‘এটা যথেষ্ট ভালো না।’
পার্কেস আরও লেখেন, শুরুতে কথাটি শুনে কিছুটা বিরক্ত লাগলেও পরে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, ব্রাউন বাবা-মাকে হতাশ করা কঠিন কাজ, কিন্তু এবার সেটা আমায় হাসিয়েছে। কারণ আমাদের বাবা-মা এখন আমাদের এমন জায়গায় দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে পৌঁছানো একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হতো।
পার্কেসের এই পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম অভিবাসী পরিবারগুলোর মধ্যে, যারা সন্তানদের প্রতি একই ধরনের প্রত্যাশা ও তুলনার অভিজ্ঞতা রাখেন।
উগান্ডায় জন্ম নেওয়া জোহরান মামদানি ১৯৯৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। তার বিজয় ছিল নিউইয়র্ক শহরের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনের একটি। এবার দুই মিলিয়নেরও বেশি নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছেন—যা গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি। প্রায় ৯ শতাংশ ব্যবধানে জয় পান মামদানি।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় মামদানিকে তার মুসলিম পরিচয় ও প্রগতিশীল নীতির কারণে রক্ষণশীল গণমাধ্যম এবং এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
তবুও তার এই বিজয় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের নানা প্রান্তের অভিবাসী পরিবারগুলোর মাঝে গর্ব ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

