বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

দৈনন্দিন যে খাবার গুলো আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
খাবার

খাবার পেলে বাঙালি যেন সবকিছু ভুলে যায়। এর জন্য আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রয়োজন পড়ে না। সুন্দর এই পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘায়ু পেতে চান। নিজেকে দীর্ঘায়ু মানুষ কি না করে। সঠিক সময়ে ঠিকমতো খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম, কি না করছে সবাই। তবে, অজান্তেই প্রতিদিনকার খাবার খেয়ে মানুষ তার আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে।

খাবার পেলে বাঙালি যেন সবকিছু ভুলে যায়। এর জন্য আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ প্রতিদিনই ভালোমন্দ খাবারেই আনন্দ খুঁজে নেন সবাই। তেলমসলাদার খাবারের প্রতি খাদ্যরসিকদের ঝোঁক বেশি। রোল, চাউমিনসহ মুখরোচক খাবারই পছন্দের।

যে যে খাবার গুলো আমাদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে

স্বাদপূরণ হলেও এই ধরনের খাবার জীবনহানির কারণ হতে পারে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তো আছেই, সঙ্গে হার্টের অসুখ, অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের আশঙ্কাও প্রবল। ধীরে ধীরে কমতে থাকে আয়ু।

এসব ঝুঁকি এড়াতে কোন খাবারগুলো খাওয়ায় রাশ টানতে হবে, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন চিকেন সালামি ও সসেজ খেতে খুবই সুস্বাদু। এসব মাংসে বিভিন্ন ফ্লেভারও দেওয়া হয়। তাই তো ছোট থেকে বড় সবার পছন্দ এসব মাংস। তবে, প্রক্রিয়াজাত হওয়া এসব মাংস দেহের জন্য ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন মাংসের স্বাদ রাখতে মাংস প্রক্রিয়াজাতের সময় নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট রাসায়নিক দেওয়া হয়। এই রাসায়নিক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে, বিশেষ করে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের।

২০১০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত মাংস মানবদেহেরে জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং তা আয়ু কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া এসব মাংসে চর্বি ও সোডিয়াম থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ইনস্ট্যান্ট নুডলস্

দ্রুত তৈরি হয়ে যায়, খেতেও মন্দ লাগে না। কিন্তু ইনস্ট্যান্ট নুডলস্‌ বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এই ধরনের নুডলসে অনেকটা পরিমাণ লবণ থাকে। এর ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সেখান থেকেই শরীরে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।

কৃত্রিম মিষ্টি

অতিরিক্ত চিনিতে মানুষের ক্ষতি হয় এমন চিন্তায় স্বাস্থ্যসচেতন অনেকে এখন চিনি খান না। তবে, চিনির মতো মিষ্টি পেতে কৃত্রিম মিষ্টিতে ঝুঁকছেন তারা। কৃত্রিম মিষ্টি হলো চিনির বিকল্প, যা রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত না করে খাবার ও পানীয়কে মিষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়।

তবে, এসব কৃত্রিম মিষ্টিও আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এই কৃত্রিম চিনি আমাদের অন্ত্রে সমস্যা করে। শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু করে যা মানুষকে মিষ্টিজাতীয় খাবারে আকৃষ্ট করে।

সিরিয়াল জাতীয় খাবার

আপনি যদি মুসলি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার দিয়ে প্রাতরাশ করেন, তবে এগুলোও কিন্তু কমাতে পারে আয়ু। কারণ, এতে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এটি স্থূলতা, ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ায়। তাতেই কমতে থাকে আয়ু।

চিনিযুক্ত পানীয়

সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস ও অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয় আমাদের দেহে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনিযুক্ত পানীয় পানে আমদের ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া বেশি চিনি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধী হয়ে ওঠে যা অগ্ন্যাশয় কোষগুলোকে আরও গ্লুকোজ গ্রহণে বাধ্য করে।

অতিরিক্ত চিনির ফলে আমাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ফুসফুসে বিভিন্ন রোগ দানা বাঁধে। ২০২১ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চিনিযুক্ত পানীয় এর জন্য প্রতিবছর এক লাখ ৮৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।