ফারফিউম কেবল সুগন্ধ নয়; এটি অনুভূতি, স্মৃতি, এবং ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। এটি শিল্প, বিজ্ঞান এবং নান্দনিকতার এক বিস্ময়কর সমন্বয়। এটি তৈরিতে ভালো উপাদানের সাথে প্রয়োজন সূক্ষ্ম কারিগরি জ্ঞান ও নান্দনিক বোঝাপড়া। বোতলের নকশা, রঙের ব্যবহার এবং প্যাকেজিংও ফারফিউমের নান্দনিকতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভালো ফারফিউম তখনই সফল হয় যখন এটি দৃষ্টিনন্দন, ব্যবহারবান্ধব এবং সুগন্ধের সঙ্গে মানানসই হয়।
এমন সব বোঝাপড়ার সমন্বয় ঘটিয়ে নান্দনিকভাবে ফারফিউম তৈরি করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যেক্তা ফরিদ খন্দকার আখতার। নিউইয়র্কের বাফেলো ট্রেড সেন্টারের অবস্থিত তার দোকানটিতে স্থান পায় হরেক রকমের ফারফিউম। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নিমিষেই বানিয়ে দেন বিভিন্ন ব্রান্ডের সুগন্ধী ফারফিউম।
সরজমিনে দেখা গেছে, হাতে ফারফিউম তৈরি করছেন যত্নসহকারে। বোতল ও এসেনশিয়াল অয়েল সাজানো, ফোঁটা ফোঁটা মাপা হচ্ছে। গন্ধ পরীক্ষা করা হচ্ছে টেস্ট স্ট্রিপে। কিছুটা চামড়ার ওপর ফারফিউম লাগিয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও সুষম গন্ধ নিশ্চিত করা হচ্ছে। ছোট, পরিষ্কার, সুগন্ধে ভরা পরিবেশে তীক্ষ্ণ মনযোগে তৈরি করছেন এসব সুগন্ধী।
ফরিদ খন্দকার আখতার বলেন, মাত্র ৫ মিনিটে যে কোনো ব্র্যান্ডের ফারফিউম তৈরি করে দেই। আমাদের এখানে দাম মার্কেট থেকে অনেক কম। তবে মান একদম একই ধরণের। মূলত ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে, বাড়তি বিক্রির জন্যই আমরা দাম কমে রাখি।
তিনি বলেন, আমরা রিটেইল ও হোলসেল উভয়ভাবেই ফারফিউম সরবরাহ করি। হোলসেল ক্রেতারা বড় পরিমাণে কেনাকাটার মাধ্যমে বিশেষ ছাড়ও পান। আমি চাই ক্রেতারা শুধুমাত্র পণ্য কিনবেন না, সাথে পুরো প্রক্রিয়াটি নিজে দোকানে এসে দেখতে পারবেন।
দোকানের ক্রেতারা বলেন, এভাবে নিজের চোখে দেখে ফারফিউম তৈরি হওয়া সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা। দামও বাজারের তুলনায় অনেক কম এবং মান ভালো।
কমিউনিটির সদস্যরা বলছেন, এ ধরনের ব্যবসা আমাদের কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার। নিজের শ্রম ও সৃজনশীলতা দিয়ে এত সুন্দর ব্যবসা গড়ে তোলা সত্যিই প্রশংসনীয়।