তাহলে কি ফাইনালে আবার দেখা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে? প্রশ্নকর্তা স্বদেশি সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদির পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনি কি নিশ্চিত ভারত ফাইনালে উঠে গেছে? আগে তারা ফাইনালে উঠুক। তারপর না হয় দেখা যাবে।’ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মঙ্গলবার এভাবেই ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন পাকিস্তান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিনি জানান, আপাতত তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ ম্যাচ। ‘আমাদের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। ম্যাচটি জিতলে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। আপাতত সেই ম্যাচ ঘিরেই আমাদের সব প্রস্তুতি।’
আফ্রিদি যখন জোর দিয়ে কথাগুলো বলছিলেন, তখনও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি শুরু হয়নি। তবে গতকাল ভারত জিতে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটি লিটন ও সালমানদের জন্য এশিয়া কাপের ‘সেমিফাইনাল’। যেখানে পাকিস্তানকে আজ হারাতে পারলেই ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। যদিও চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে গায়ে গায়ে এমন দুটি বড় ম্যাচের সূচি নিয়ে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স। তার পরও খেলতে যেহেতু হবেই, এখন আর সূচি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে লাভ নেই।
যদি-কিন্তুর এমন একটি বাঁকে এসে এ মুহূর্তে ভীষণ আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ পাকিস্তান দলকে। ভারতের কাছে আসরে টানা দুটি ম্যাচ হেরে যে মুখগুলো শুকনো হয়েছিল, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তাদের মুখেই এখন বাংলাদেশকে হারানোর হুঁশিয়ারি।
‘বাংলাদেশ ভালো দল। সম্প্রতি তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে এ ধরনের প্রতিপক্ষের সঙ্গে যখন ম্যাচ থাকবে, তখন শুরুতেই আপনাকে পাঞ্চ মারতে হবে, যাতে তারা কোনো সুযোগ না পায়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও আমাদের শুরুটা করতে হবে ভীষণ আগ্রাসী ভঙ্গিতে। তা বোলিংয়েই হোক কিংবা ব্যাটিংয়ে।’
আফ্রিদির এই ‘পাঞ্চ’ তারা এ আসরে কেবল শ্রীলঙ্কাকেই মারতে পেরেছে। আবুধাবিতে লঙ্কান টপঅর্ডারদের ফিরিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা। ‘আমরা পাকিস্তানি পেসাররা এমন আগ্রাসী ভঙ্গিতেই বোলিং করতে পছন্দ করি। কখনও হয়তো উইকেটের কারণে সেটি সাপোর্ট করে না। তবে বোলিংয়ে এই আগ্রাসী ব্যাপারটি না থাকলে ম্যাচে ভালো করা যায় না।’
শাহিন, ফাহিম, হারিস ও হুসেইন– চার পেসার দিয়েই কি বাংলাদেশ ম্যাচের কৌশল সাজাবে আজ পাকিস্তান? জিজ্ঞাসা ছিল আফ্রিদির সামনে। উত্তরে স্পিননির্ভর একাদশ সাজানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ‘আবুধাবি আর দুবাইয়ের পিচে কিছুটা ভিন্নতা আছে। দুবাইয়ে স্পিনাররা ভালো করছে। জানি না, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একাদশ কেমন হবে। তবে সেখানে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। সে তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে এসে কিছুটা স্ট্রাগল করতে হয় পেসারদের।’
এমনিতে এই ফরম্যাটে দুই দলের মুখোমুখিতে পাকিস্তানের রেকর্ড বেশ এগিয়ে। ২৫ বারের দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র পাঁচটিতে। যার চারটিই আবার মিরপুরে, একটি এশিয়ান গেমসে। তাই মিরপুরের বাইরে গিয়ে আজ দুবাইয়ে পাকিস্তানকে হারানোর বড় চ্যালেঞ্জ থাকছে লিটনদের সামনে। সম্প্রতি দুই দল লাহোর-মিরপুর মিলিয়ে মোট ছয়টি ম্যাচ খেলেছে। তাই একে অপরের কাছে একেবারেই অচেনা নয়। শুরুর পাঞ্চটা তাই শাহিন আফ্রিদিকে তানজিদ তামিমও মারতে পারেন কিংবা হারিস রউফকে সাইফ।