যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ অর্থ বছরে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ জনকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাদের বেশিরভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৬-২৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ৭ হাজার ৫০০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যাদের বেশির ভাগই হবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই নথিতে স্বাক্ষর করলেও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রেসিডেনশিয়াল নথি থেকে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে—বিশ্বজুড়ে বিপদগ্রস্ত লাখো মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ব্যবস্থা মূলত বন্ধই থাকবে। তবে নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগ স্থান বরাদ্দ করা হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের জন্য।
নথিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের ‘নির্বাহী আদেশ ১৪২০৪ অনুযায়ী, প্রবেশসংখ্যা প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজ নিজ দেশে বেআইনি বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। যারা আফ্রিকানার জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।
ট্রাম্প অনেকবার দাবি করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও শীর্ষ আফ্রিকান কর্মকর্তারা ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা যেসব অনুদান এবং চুক্তির মাধ্যমে শরণার্থীদের সেবা দেয়, সেগুলো এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হবে।
এটি বাইডেন প্রশাসনের সময় নির্ধারিত ১ লাখ ২৫ হাজারের তুলনায় প্রায় ৯৪ শতাংশ কম। মানবিক উদ্বেগ ও জাতীয় স্বার্থেই মূলত শরণার্থী প্রবেশের নতুন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

 
          
 প্রিন্ট করুন
                                প্রিন্ট করুন
                             
                    
 
  
  
 