ধুলাবালিতে যাদের অ্যালার্জি, তাদের হুটহাট সর্দি লেগে যায়। আবার ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা-সর্দি লাগা সাধারণ সমস্যা। ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলেই অনেকে নেজাল ড্রপ ব্যবহার করেন। এতে তাৎক্ষণিক সমস্যা কমলেও দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। তাই হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করলে আরাম পাওয়া যায়।
বন্ধ নাক খুলতে যা করতে পারেন-

বাষ্প গ্রহণ: বাষ্প গ্রহণ শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এটি নাকের ফোলাভাব কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। ভালো ফল পেতে তোয়ালের নিচে গভীরভাবে শ্বাস নিন।
কপালে গরম সেঁক দিন: কপাল বা নাকের আশেপাশে গরম সেঁক দিলে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে নাকের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
ইউক্যালিপটাস বা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল তেল : এই প্রয়োজনীয় তেলগুলিতে মেন্থলের মতো যৌগ রয়েছে যা শ্বাসকষ্টের পথ খুলে দেয়। এই প্রয়োজনীয় তেলগুলি একটি ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নাকের কাছে বা বুকে লাগাতে পারেন যা তাৎক্ষণিক আরাম দেবে।

গরম মধু লেবুর পানি : মধু এবং লেবুর পানি একটি সতেজ পানীয় যা শরীরকে আর্দ্র রাখে । এটি গলার জ্বালা বন্ধ করে এবং শ্লেষ্মা তরল করতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, লেবুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ফলে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি দেয়।
হলুদ দুধ : হলুদে থাকা কারকুমিন একটি শক্তিশালী জ্বালারোধী উপাদান। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে ,সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এই মিশ্রণ নাকের বন্ধভাব দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলালেবু, কিউই, স্ট্রবেরি এবং আরও অনেক খাবার বন্ধ নাক সৃষ্টিকারী সংক্রমণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে ঠান্ডা এবং নাকের বন্ধভাব কমবে।

আদা চা : আদায় থাকা অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ আদা চা পানে গলার খুশখুশে ভাব কমে। একইসঙ্গে নাকের ফোলাভাব কমায়। নিয়মিত আদা চা পানে ঠান্ডা ও বন্ধ নাক থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।