আগামী মাস থেকেই ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনঃচালুর পরিকল্পনা চলছে। ভারতের প্রভাবশালী সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির সিভিল এভিয়েশন বিভাগের পক্ষ থেকে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোকে সরাসরি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য শর্ট-নোটিসে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে যে, শিগগিরই বিশেষ করে শেংহাই কপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সামিটের সময় বা তার কাছাকাছি একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ।
এটি শুধু আবার যোগাযোগের সংযোগ নয়; এটি দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি সূক্ষ্ম মানসিক thaw হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষ করে, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আগের গালওয়ান সংঘর্ষের পর পরিপূর্ণভাবে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল; সেই পরিপ্রেক্ষিতে, এধরনের পদক্ষেপ গুরুত্ব বহন করে।
কোভিডের কারণে ২০২০ সালের মে মাস থেকে কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা ও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ। তার এক মাস পর ২০২০ সালে জুনে পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যথেষ্ট আড়ষ্টতা দেখা দিয়েছিল
এছাড়াও, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে দুই পক্ষ ইতোমধ্যে পুনরায় বিমান যোগাযোগ চালু করার জন্য সম্মতি জানিয়েছিল; তার পর জুনে বৈঠকে তা দ্রুত বাস্তবায়িত করার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক ভ্রমণ ভিসা ছাড় ও কাইলাশ–মানসারোভার যাত্রা পুনরায় চালুর মাধ্যমে ভারত-চীন সম্পর্ক কিছুটা স্বস্তিশীল হচ্ছে ।
এই প্রক্রিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত–চীনের আগ্রহভিত্তিক বহুমুখী অগ্রগতির এক অংশ। সরাসরি বিমান সংযোগ কেবল যাত্রী সুবিধাই নয়, এটি ব্যবসা, শিক্ষাঘটিত, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিনিময়কে আরও মসৃণ করবে। তবে, এখনো অনেক নিয়মকানুন, ট্রাফিক রাইটস এবং যাত্রী চাহিদা নিয়ে আলোচনা চলমান; সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই ফ্লাইট পুনরায় শুরু হতে পারে ।