জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। কারণ হচ্ছে আমাদের কাছে যে ১১৫টা সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকা রয়েছে সেখানে শাপলা প্রতীক নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রতীক নেওয়ার নিয়ম হচ্ছে যে, সংরক্ষিত প্রতীকগুলোর ভেতর থেকে একটা প্রতীক বাছাই করে নিতে হবে। সংরক্ষিত প্রতীকে যদি শাপলা প্রতীক না থাকে তাহলে দেওয়ার সুযোগটা কোথায়?’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতীকের যে তালিকা সে তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। এখন এনসিপিকেই বিকল্প একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে পাঠাতে হবে। সেটার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
তো এখন নিষ্পত্তি হবে দুইজনের সম্মতিতে।’
সংবাদ সম্মেলনে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটা কাজ এগিয়েছি এবং আগাচ্ছি। আমাদের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারস যারা আছেন, যেমন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, নারী নেতাকর্মী, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে আমরা পর্যাক্রমিকভাবে আলোচনা শুরু করব। আমরা প্রাথমিকভাবে চিন্তা করছি এবং কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২৮ তারিখ থেকে করা হবে।
একটু বিরতি দিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। কারণ হচ্ছে যে, ছুটির দিন আছে, পূজার ব্যাপার আছে। এ সমস্ত কাজে আমরা সংলাপের সময়সূচি নির্ধারন করেনি। তবে ২৮ তারিখ থেকে আমরা শুরু করব।’
ইসি সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ও ইসির কাছে থাকা প্রতীকের সংরক্ষিত তালিকাটি আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং শেষে আবার ইসির কাছে ফেরত এসেছে।
কাজেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যেটা চলমান আছে সেটার সঙ্গে যে প্রতীকের একটা সমন্বয়ের ব্যাপার ছিল সেটা আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেছি। তবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নথিটা এখনো পর্যন্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। যখনই এটা চূড়ান্ত হবে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। আর আরপিওর সংশোধনের প্রস্তাবটা এখন আইন লেজিসলেটিভ বিভাগে অপেক্ষমান আছে। সেটাও আমরা এখনো পর্যন্ত আশা করি আমরা খুব অচিরেই এটা পেয়ে যাব।’