বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের আগে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ওয়াশিংটনের যে খসড়া প্রস্তাবটি দেখেছে, তাতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। তবে প্রস্তাবটি কবে ভোটে তোলা হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কোনো প্রস্তাব পাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে অন্তত ৯টি ভোট এবং স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশগুলো (রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের) কোনোটির ভেটো না থাকা প্রয়োজন হয়।

ওয়াশিংটন গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর গত বছর ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা হয়। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বিরোধী বাহিনীর অভিযানে এই পতন ঘটে।

পূর্বে নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত এইচটিএস ২০১৬ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে ২০১৪ সালের মে মাস থেকে এই সংগঠনটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদার সঙ্গে আইএসআইএস নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে আল-শারা ও আনাস খাত্তাবসহ একাধিক এইচটিএস সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি চলতি বছর আল-শারার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একাধিকবার সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছে।

ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটি আগামী সোমবারের আগে গৃহীত না হলেও, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউস সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্প গত মে মাসে এক ঘোষণায় সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন, যা ছিল ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তদারককারী পর্যবেক্ষকরা জুলাইয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরে আল-কায়েদা ও এইচটিএস-এর মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্ক দেখা যায়নি।