বেগুন খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। প্রায় সারা বছরই বাজারে মেলে এই সবজি। প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর বেগুনে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও প্রচুর জলীয় উপাদান। তাই ওজন কমাতে চাইলে বেগুন হতে পারে আদর্শ একটি খাবার।
তবে সবার জন্য বেগুন সমান উপকারী নয়। কিছু বিশেষ শারীরিক সমস্যায় বেগুন খাওয়ায় বিধিনিষেধ আছে।
বেগুন অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

১. অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
অনেকের বেগুন খেলে অ্যালার্জি হয়। গায়ে চাকা চাকা দাগ উঠতে পারে বা শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। অ্যাজমা ও অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বেগুন না খাওয়াই ভালো।
২. গেঁটে বাত ও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ায়
বেগুনে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি গেঁটে বাত ও আর্থ্রাইটিস রোগীদের ব্যথা বাড়াতে পারে।
৩. হজমের সমস্যা ও পেট ব্যথা
অতিরিক্ত ফাইবার ও কিছু উপাদানের কারণে বেগুন অনেক সময় গ্যাস, মোচড় দিয়ে পেট ব্যথা ও হজমের গোলমাল তৈরি করে।
৪. ইউরিক এসিড ও কিডনির ক্ষতি

বেগুন ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে। এতে কিডনির সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি কিডনিতে পাথরের ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে। যদিও এ বিষয়ে গবেষণা এখনো সীমিত।
৫. শরীরে আয়রন কমাতে পারে
বেগুনের খোসায় থাকা নাসুনিন লোহার সঙ্গে বন্ধন তৈরি করে শরীর থেকে আয়রন কমিয়ে দিতে পারে। ফলে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি থাকে।
৬. প্রাকৃতিক বিষক্রিয়ার ঝুঁকি
বেগুনে থাকা সোলানিন নামের প্রাকৃতিক উপাদান বেশি খেলে বমি বমি ভাব, তন্দ্রা এমনকি বিষক্রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৭. মানসিক অবসাদ বাড়াতে পারে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বেগুন খেলে মানসিক অবসাদ বেড়ে যেতে পারে।
৮. গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা উচিত

চিকিৎসকরা সাধারণত গর্ভাবস্থায় বেগুন না খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
বেগুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। তাই যাদের এসব সমস্যা আছে, তাদের বেগুন এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।