শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন সহযোগীর ১০ দিন করে রিমান্ড

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন সহযোগীর দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী ও আরামিট পিএলসির এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং আরামিট পিএলসি এজিএম উৎপল পাল।

এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ইউসিবি পিএলসির মহাখালী শাখার গ্রাহক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তারা অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ঋণ অনুমোদন করিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিংসহ অন্যান্য ধারায় অপরাধ করেছেন।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসির ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বেস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড (বর্তমানে আইকনক্স সার্ভিসেস লিমিটেড)-এর চেয়ারম্যান আমিন আহম্মেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উম্মে কুলসুমের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাপ সৃষ্টি করে ৬০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ লেনদেনে আরামিট গ্রুপের কর্মচারী ভুয়া প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং মালিক মো. আব্দুল আজিজ, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম, লুসেন্ট ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ জাহিদ ও রেডিয়াস ট্রেডিংয়ের মো. ফরিদ উদ্দিনদের সহযোগিতা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।