সু-স্বাস্থ্যের জন্য কখন ফল খাওয়া উচিত? খাবার খাওয়ার আগে নাকি পরে। এই বিষয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তবে বেশির ভাগ চিকিত্সকই খালি পেটে ফল খেতে বারন করেন।
ফলে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, সব সময় বা অতিরিক্ত পরিমাণে ফল খাওয়া কিন্তু উপকারের বদলে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
ফল অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি হতে পারে?

ফলে প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। বিশেষ করে, এতে থাকে ফ্রুক্টোজ। যা অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে গেলে ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। অতিরিক্ত ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এর ফলে হার্টে চাপ পড়তে পারে এবং করোনারি আর্টারির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ফল খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
কখন ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো?

পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে একবার ফল খাওয়া যথেষ্ট। বিশেষ করে সকালের নাশতায় ফল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে ফল না খেয়ে ঋতুভিত্তিক (মৌসুমি) ফল অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো। এতে শরীর পুষ্টিও পায়, আবার কোনো নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে না।
এছাড়াও, মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে খাবারের সঙ্গে ফল খেলে গ্যাস-বুক জ্বালার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে এর জন্য পেটের নানা গোলমাল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভরা পেটে ফল খেলে তা সহজে হজম হতে চায় না। ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভার বা পেটে একটা অস্বস্তি কাজ করে। যা খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি করতে পারে। খাবারের অনিয়মের ফলে দেখা দিতে পারে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা।

ডায়েটেশিয়ানদের পরামর্শ অনুযায়ী, লাঞ্চ বা ডিনারে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে তার পরিবর্তে ফল খেতে পারলে দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব। কিন্তু ভরা পেটে ফল খেলে যদি তা স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হবে, তাহলে ডায়েটেশিয়ানরা এমন পরামর্শ দেন কেন?
এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছু ক্ষণ অন্তত কিছু না খাওয়াই ভাল। তাতে পরিপাক প্রক্রিয়া বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। তাই ভারী খাবার খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর ফল খান। উপকার পাবেন। আর খালি পেটে ফল না খাওয়াই ভাল।