বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘সর্বব্যাপী পরিকল্পনার প্রথম ধাপ’ বাস্তবায়নে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, মালয়েশিয়া তা স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত এ পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অবিলম্বে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছে মালয়েশিয়া।
গাজায় যুদ্ধের অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব ও উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মালয়েশিয়া কৃতজ্ঞতা জানায় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের জন্য মিশর, কাতার, তুর্কিয়ে ও অন্যান্য দেশের ভূমিকাকেও মালয়েশিয়া মূল্যায়ন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই অগ্রগতি গাজায় হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয়ের অবসানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পরিকল্পনাটি বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিনিময়, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, গাজা পুনর্গঠন এবং গাজার জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সোমবার থেকে মিশরের শার্ম আল-শেখ শহরে চলছে, যেখানে ২০ দফা এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই পরিকল্পনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাস নীতিগতভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজা উপত্যকা কার্যত বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।