যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্যাকেজটিতে উন্নত রকেট লঞ্চার, স্ব-চালিত হাউইৎজার কামান এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে এই অস্ত্র চুক্তিটি এখনও মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি হবে তাইওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় অস্ত্র বিক্রি চুক্তি।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে এবং দ্বীপটির ওপর সামরিক চাপ বাড়িয়ে চলেছে। নিয়মিত সামরিক মহড়া, আকাশসীমা ও জলসীমায় অনুপ্রবেশের মাধ্যমে বেইজিং এই চাপ জারি রেখেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, এই চুক্তি দ্বীপটির দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও, তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
চীন এখনো এই সর্বশেষ ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য না করলেও, গত মাসে একটি ছোট অস্ত্র বিক্রির চুক্তিকে তারা তাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য “গুরুতর লঙ্ঘন” বলে আখ্যা দিয়েছিল।
এই নতুন প্যাকেজে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের HIMARS রকেট সিস্টেম এবং ৪ বিলিয়ন ডলারের স্বচালিত কামান রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা।
এই চুক্তি কার্যকর হলে, এটি জো বাইডেন প্রশাসনের সময়কার মোট অস্ত্র বিক্রির চেয়েও বড় হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তাইওয়ানের কাছে মোট ১৮.৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদিত হয়েছিল।
চীন বহুদিন ধরেই তাইওয়ানের সঙ্গে “পুনঃএকত্রীকরণের” কথা বলে আসছে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে। এই হুমকিকে গুরুত্ব দিয়ে তাইওয়ান আগামী বছর প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩% এর বেশি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৫% পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

