নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ১০ মে লিবার্টি রেনুভেশনের সিইও মোহাম্মদ আজাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন লায়ন্স ক্লাবের গভর্নর ও বারী হোম কেয়ারের সিইও আসেফ বারী টুটুল। দুই বছরেরও বেশি সময় পর আসেফ বারী টুটুলের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করলেন মোহাম্মদ আজাদ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) কুইন্স প্যালেসে বারী হোম কেয়ারের সিইও আসেফ বারী টুটুলের কাছে পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার স্ত্রী রোকসানা মির্জাও উপস্থিত ছিলেন এবং স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে আবেগাপ্লুত হন। তবে জানা যায়, ২০২৩ সালের ঘটনায় তারা তখনও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদ বলেন, নিউইয়র্কে আমি অনেকের জন্যই কাজ করেছি। সবাইকে হ্যাপী করা সম্ভব না। মুষ্টিময় দুয়েকজন আমার উপর আপসেটও থাকতে পারেন। আমি কাজ করি, কাজের বিনিমেয়ে পারিশ্রমিক নিই। এতে আমার লজ্জার কিছু নেই, লজ্জা হলো চুরিতে। আমি সবচেয়ে বড় কাজ করেছিলাম আসেফ বারী টুটুলের সাথে। সব কাজ শেষে উনি আমাকে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। উনার কাছে আমি এখনো ৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাওনা। উল্টো উনিই আমার নামে প্রতারণার মামলা করলেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আসেফ বারীর মামলা শুধুই তার সুনাম নষ্ট করার জন্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় পাল্টা মামলার কথাও জানান আজাদ। তবে বিভিন্ন কারণে তা এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। তার অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণে সামাজিক কোন সহায়তাও পাননি বলে জানা গেছে। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনেও তার অপ্রাসঙ্গিক দীর্ঘ বক্তৃতায় আগত সাংবাদিকদের বিরক্ত হতে দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে আসেফ বারীর ছবি থাকলেও অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহুর্তে তড়িগড়ি করে তা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলে সে ঘটনাটিও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যদিও এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মোহাম্মদ আজাদ।
এ বিষয়ে বারী হোম কেয়ারের সিইও আসেফ বারী টুটুল বলেন, আমি ওর কাছে উল্টো সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাই। আমি ব্যাংকের কাগজপত্রও জামা দিয়েছি। যার মামলা এখনো চলমান। কোর্টে সে শুনানিতে যায়না। বিভিন্ন অজুহাতে সে সময়ক্ষেপন করছে।
আজাদের দাবিকৃত টাকার জন্য করা মামলার বিষয়ে আসেফ বারী বলেন, এ ধরনের কোন মামলার সম্পর্কে আমি জানিনা। সে যদি আমার বিরুদ্ধে মামলা করতো, কোর্ট তো আমাকে নোটিশ করতো। আমি এখনো পর্যন্ত কোন নোটিশ পাইনি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের সংবাদ সম্মেলনে আসেফ বারী টুটুল ছাড়াও গোল্ডেন এইজ হোমকেয়ারের সিইও শাহ নেওয়াজ, ডাক্তার মাসুদুর রহমান ও লোকমান শিপন আজাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই ঘটনায় আসেফ বারী টুটুল মামলা দায়ের করেছিলেন, যা এখনো চলমান। এছাড়া লোকমান শিপনের দায়ের করা মামলার রায় গেছে তার পক্ষেই। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে আজাদকে কারাভোগ করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, কানেকটিকাটের “আপনা বাজার” নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও টাকা নিয়েছেন মোহাম্মদ আজাদ। ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা অন্যদের সতর্ক করে বলেছেন, আজাদের সাথে ভবিষ্যতে কোনো ব্যবসা বা লেনদেনের আগে সাবধান হতে।