রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

বাফেলোতে বাংলাদেশি অ্যাটর্নি নাজমুস সাকিবের দৃষ্টান্ত স্থাপন, ক্ষতিপূরণ আদায়ে সাফল্য

শনিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ব্যক্তিগত ক্ষতির মামলায় আদালতে ভিকটিমের পাশে দাঁড়িয়ে ৩শ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করে বাফেলোতে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন ইনজুরি লিটিগেশন অ্যাটর্নি নাজমুস সাকিব এবং তার ফার্ম ফ্রোমেন ইনজুরি ল’। শুধুমাত্র পুলিশের গাড়ি সংশ্লিষ্ট দূর্ঘটনার ঘটনায় তাদের জয় ৪৩ মিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি নাজমুস সাকিব ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়া দুই বোনের পক্ষে আদালতে লড়ে আদায় করেছেন ১৩ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ। তার মাধ্যমে দুর্ঘটনা কবলিতদের পক্ষে আদায়কৃত এ অর্থ শুধু আহত পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যই ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে উঠেছে।

নাজমুস সাকিব বাফেলোতে বসবাসরত একমাত্র বাংলাদেশি অ্যাটর্নি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশা চালানোর অনুমতি অর্জন করেছেন। এই বিশেষ অর্জন তাঁকে শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটির গর্ব নয়, বরং মূলধারার আমেরিকান আইনি অঙ্গনেও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাফেলোতে কমিউনিটির সেবায় নিবেদিতপ্রাণ এটর্নি নাজমুস সাকিবের জন্ম বাংলাদেশে। তার পুরো পরিবার আমেরিকায় বসবাস করলেও তার ইচ্ছে ছিলো বাংলাদেশে আইন প্র্যাকটিস করার। সে লক্ষ্যেই ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি সম্পন্ন করার পর ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ড থেকে বার-অ্যাট-ল’ শেষ করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশে ফিরে তিন বছর প্র্যাকটিস করেন একজন এ্যাপ্রেন্টিস আইনজীবী হিসেবে। কিন্তু নিউইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ লাভ করলে উচ্চশিক্ষার জন্য তাকেও পাড়ি জমাতে হয় আমেরিকায়। মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর নিউইয়র্ক বারের এটর্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে ইন্সুরেন্স ডিফেন্স এটর্নি হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর নতুন পথচলা, যেখানে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

বাফেলোতে আইনি লড়াইয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কমিউনিটির আস্থা অর্জন করেন নাজমুস সাকিব। মাতৃভাষায় পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ, আন্তরিকতার সঙ্গে আইনি সহায়তা এবং ক্লায়েন্টদের প্রতি ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা তাঁকে বাংলাদেশী কমিউনিটির কাছে ভরসার প্রতীক করে তুলেছে। বাফেলোতে তিনি কাজ করছেন দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ব্যক্তিগত ক্ষতির মামলায় বিশেষজ্ঞ ফ্রোমেন ইনজুরি ল’ এর সাথে। গাড়ি ও ট্রাক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র বা নির্মাণস্থলের দুর্ঘটনা, নার্সিং হোমে অবহেলা, পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা অন্য কারও অবহেলার কারণে মৃত্যু—প্রতিটি মামলায় প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থেকে লড়াই করে। 

নাজমুস সাকিব বলেন, দুর্ঘটনায় আহত বা প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলো যখন অসহায় হয়ে পড়েন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ানোকে আমি শুধু আইনি সহায়তা মনে করিনা, বরং এটি মানবিক সহায়তা। যে কোন প্রয়োজনে, কমিউনিটির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলে তা হবে আমার জন্য গর্বের।

আমেরিকার আইনি অঙ্গনে সাফল্য অর্জন, নিজের শ্রম, দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে ন্যায়বিচার আদায়ে নতুন ইতিহাস রচনা করছেন নাজমুস সাকিব। তার মতো সুযোগকে কাজে লাগাতে জানলে এবং অধ্যবসায়ে অটল থাকলে যে কোন প্রবাসী বাংলাদেশী নিজের অবস্থানকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে বলে মনে করেন কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা।