মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, এইচ-১বি ভিসার ফি এক ধাক্কায় ১ হাজার ডলার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১ লাখ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৯ লাখ টাকা সমপরিমাণ।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, আগামী লটারির সময় থেকে নতুন আবেদনকারীদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে। যাদের ইতিমধ্যেই ভিসা রয়েছে বা নবীকরণ করতে হবে, তাদের জন্য বাড়তি চাপ থাকছে না।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতীয় পেশাজীবীদের উপর। ২০২৩ অর্থবর্ষে অনুমোদিত ৩ লাখ ৮৬ হাজার এইচ-১বি ভিসার মধ্যে ৭২ শতাংশই পেয়েছিলেন ভারতীয়রা। এই সিদ্ধান্তের পরপরই বিরোধী শিবির মোদিকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভারত একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে।’
তিনি ২০১৭ সালে দেওয়া নিজের টুইট আবার পোস্ট করে একই অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে লিখেছেন, ‘আপনার জন্মদিনে ট্রাম্প যে উপহার দিলেন, তা ভারতীয়দের জন্য যন্ত্রণার কারণ হচ্ছে।’
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন, ‘৫০ শতাংশ শুল্কের পর আবার ১ লাখ ডলার ফি—নমো-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ভারতের জন্য বিপজ্জনকভাবে ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।’
বিরোধীদের এই আক্রমণ নিয়ে বিজেপি শিবিরে তীব্র অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন স্বার্থেই জরুরি ছিল। কর্পোরেট মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
মাইক্রোসফ্ট, জেপি মরগ্যান, অ্যামাজন ইতিমধ্যেই নিজেদের কর্মীদের দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে বলেছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি গুজরাতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো বিদেশ নির্ভরতা।’ কিন্তু বিরোধীরা পাল্টা বলছে, মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্বের আসল মূল্য এখন দিতে হচ্ছে ভারতীয় জনগণকে।