প্রতিনিয়ত আমরা কিছু খাবার খেয়ে থাকি যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জীবন পরিচালনায় সচেতন ও সতর্ক না থাকলে যেকোনো বয়সে হৃদরোগ হানা দিতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা থাকলে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। যদিও ব্যস্ততার কারণে অনেক সময়ই নিজের অজান্তে হৃদরোগজনিত সমস্যা হয়ে থাকে।
যে খাবার গুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
হৃদরোগের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি খাদ্যতালিকায় নজর রাখা উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অনিয়মিত খাবারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার তাহলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ায় এমন সব খাবারের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

সোডাজাতীয় পানীয়: গ্রীষ্মে স্বস্তি পেতে অনেকেই সোডাজাতীয় পানীয় পান করে থাকেন। এতে সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তি পেলেও তা শরীরের ভেতরের জন্য ক্ষতিকর। সোডাযুক্ত পানীয়তে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদান অন্ত্রের ক্ষতি করে থাকে। আর এসব পানীয় নিয়মিত পানের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এ জন্য সোডা, নরম ও রঙিন পানীয় বেশি পান না করা ভালো পরামর্শ।

লবণ: অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের বড় কারণ। কেননা, হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য চিকিৎসকরা কাঁচা লবণ খেতে নিষেধ করেন। বিশেষ করে যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মারাত্মক সমস্যা হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। আর দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সাদা পাউরুটি: অনেকেই সকালের নাস্তা বা অফিসের টিফিনে সাদা পাউরুটি খেয়ে থাকেন। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ, সাদা পাউরুটি খাওয়ার ফলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেবল তাই নয়, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস হলে একসময় কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্বল হয়ে থাকে। এতে ফাইবার ও প্রোটিন কম থাকায় দ্রুত হজমও হতে পারে না। এ কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ জন্য পাউরুটি খাওয়া না ছেড়ে ব্রাউন ব্রেড খাওয়া যেতে পারে।

ভাত: সুস্থ থাকতে ভাত খাওয়া খুবই জরুরি। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনের থেকে বেশি মাত্রায় ভাত খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকে ভাতে। আর স্টার্চ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য চিকিৎসকরা বেশি পরিমাণে আলু খাওয়ার জন্যও নিষেধ করে থাকেন।
সিরিয়ালজাতীয় খাবার: কর্নফ্লেক্স, মুসলির মতো সিরিয়ালজাতীয় খাবার অনেকেই খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ মনে করেন এসব খাবার স্বাস্থ্যকর। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এ ধরনের খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। আর চিনি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।