শসার গুণ অনেক। তাই অনেকে ওজন কমানোর জন্য বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানোর জন্য খাদ্যতালিকায় শসা রাখেন। প্রশ্ন হলো, শসা খেলে আদৌ কি পেটের চর্বি কমে?
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, শসা খেলে পেটের চর্বি কমে। কারণ এতে জলীয় অংশ বেশি থাকে এবং খুব কম পরিমাণে থাকে ক্যালোরি। আর ক্যালরি পেট ভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শসায় থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
শসা খেলে ওজন ও চর্বি কমে কেন

শসায় প্রায় ৯৫ ভাগ পানি এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে। এটি বেশি পরিমাণে খেলেও শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা হয় না, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া, পর্যাপ্ত ফাইবার থাকে শসায়। এ উপাদানটি হজমে সহায়তা করে এবং পেট ভরা রাখে। ফলে দ্রুত ক্ষুধা পায় না।
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ, বর্জ্য বা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে শসা। এতে থাকা ভিটামিন, আঁশ (ফাইবার) এবং পানি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ, বি ও সি সহ বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে শসায়। এ ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
এ সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পানি ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতেও সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে শসা দারুণ উপকারী। এক কাপ শসাতে মাএ ১৬ গ্রাম ক্যালরি থাকে। অর্থাৎ এর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম। আর ‘এনার্জি ডেনসিটি’ কম এমন খাবারের সঙ্গে ওজন কমার সম্পর্ক আছে। শসায় পানির মাত্রা বেশি হওয়ায় তা খেলে পেট ভরা থাকার অনুভূতি থাকে, ক্ষুধা কমে যায়।

এ ছাড়াও এতে থাকা কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে বাড়ে বিপাকের হার। সে কারণে মেদ কমে যেতে সময় লাগে না। তাই ওয়েট লস ডায়েটে শসা অন্যতম উপাদান। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, কেবল ওজন কমানো নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে ডায়েটের তালিকায় শসা রাখা জরুরি। তবে শুধু ওজন কমাতে শসা ডায়েটই নয়, সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও শসার উপকারিতা অনেক। এ জন্য প্রত্যেক বেলা খাবারে রাখতে হবে শসা।