মোমিন মেহেদী: প্রথমে মিয়ানমার, এরপর পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ; সর্বশেষ নেপাল এক ষড়যন্ত্রের জালে আবদ্ধ হয়ে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ধ্বংসের মুখে পড়েছে। সেই ধ্বংসের হাত থেকে কবে কখন মুক্তি পাবে, জানে না নিয়তি ছাড়া কেউ। একের পর এক আসছে ধ্বংসযজ্ঞের ঢেউ। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে ভারতও এখন সেই ষড়যন্ত্রের জালে আটকে পরতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজপথে থাকা সচেতন নাগরিক হিসেবে দেখেছি- ৫ আগস্ট ২০২৪, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালান স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্টখ্যাতি পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনতার চাওয়াকে উপেক্ষা করে একের পর এক নির্বাচন আর উন্নয়নের খেলা খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজের পতন ডেকে এনেছিলেন। এবার ৯ সেপ্টেম্ববর ২০২৫, মাত্র এক বছরের মাথায় ঠিক একই পথে হাঁটলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। তিনিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন। জনদাবি উপেক্ষা করতে গিয়েই তার এই পরিণতি। আওয়ামী লীগেরও ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ার ইতিহাস আছে। সেই দলটিকেই ক্ষমতা ছাড়তে হলো এক গণআন্দোলনের মুখে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট), যা একসময় রাজতন্ত্র উচ্ছেদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল, তারাই এখন জনরোষের শিকার। এক সময়ের বিপ্লবের কাণ্ডারিরা নিজেরাই আরেক বিপ্লবের মুখে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত হলেন।
এই দুটি আন্দোলনেরই মূল চালিকাশক্তি ছিল লোভে আচ্ছন্ন বিদেশী ষড়যন্ত্রের সুতো- তরুণ প্রজন্ম। যাদের উপরে ভর করা বিদেশী নির্দেশিত কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দ্রুতই সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। নেপালের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। সেখানে আন্দোলনকারীদের পরিচয় ‘জেন জি’ বা প্রজন্ম জেড। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হলেও তা দ্রুতই সরকারের দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে পরিণত হয়। এখানেও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয় কিন্তু তাতে আন্দোলন দমে না গিয়ে বরং আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পার্থক্য কিছুটা থাকলেও একইভাবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান- নেপাল-মিয়ানমারসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে কিছুটা গুছিয়ে আসা সরকারগুলোকে। পাকিস্তানে ইমরান খানের পতন যেভাবে নিশ্চিত করেছিলো, তারচেয়ে একটু আলাদাভাবে বাংলাদেশে আন্দোলনের শোর তোলা হয়। এখানে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কোটা সংস্কারের দাবি। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ছিল তীব্র। তাদের যুক্তি ছিল, স্বাধীনতার বহু দশক পর এই ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগকে সীমিত করছে। গত বছর জুনে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ এই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে, যা পরবর্তীতে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। নেপালেও বিক্ষোভের মূল বিষয় ছিল দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি। ‘নেপো কিডস’ হ্যাশট্যাগটি সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে, রাজনৈতিক নেতারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন, যখন সাধারণ মানুষ জীবন ধারণের জন্য সংগ্রাম করছে। দুই দেশের সরকারই আন্দোলন দমাতে কঠোর দমন-পীড়নের আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার আন্দোলনকারী নিহত হন। কিন্তু এই ব্যাপক প্রাণহানি আন্দোলনকে থামানোর বদলে আরও ছড়িয়ে দেয়। ঢাকার বাইরেও বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে, জনস্রোত আরও স্ফীত হয়। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে তার বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। নেপালের চিত্রও ভিন্ন ছিল না। কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও দাঙ্গা পুলিশ কঠোর হাতে দমন শুরু করে। এতে ১৯ জন নিহত হন। কিন্তু এই নৃশংসতা কেবল আন্দোলনকে আরও বেগবান করে এবং তা দেশের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে পদত্যাগ করতে অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত কেপি শর্মা অলির সামনে ক্ষমতা ছাড়ার কোনো বিকল্প ছিল না।
একটু ইতিহাসে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে- ২০২২ সালের ০১ জুন প্রথম আলো লিখেছে- পাকিস্তানে গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে পতন হয় ইমরান খান সরকারের। ইমরানের দাবি, তাঁর সরকারকে হটাতে ষড়যন্ত্র করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে পাকিস্তানের জনগণের বড় একটি অংশ ঠিকই ওই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বের’ ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনা ইমরানের অভিযোগ যে পাকিস্তানিদের মনে ধরেছে, তা যেন অনেকটাই প্রমাণিত হয়েছে গত কয়েক দিনে। রাজধানী ইসলামাবাদে সরকারবিরোধী লংমার্চে ইমরানের পক্ষে রাস্তায় নেমেছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ইমরানের সমর্থকদের সোচ্চার হতে দেখা গেছে। লংমার্চেও যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি তুলতে ভোলেননি ইমরান। শুধু ইসলামাবাদই নয়, ১০ এপ্রিল গদি হারানোর পর পাকিস্তানজুড়ে ইমরান যেসব সমাবেশ করেছেন সবখানেই ‘ষড়যন্ত্রের’ বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ‘ইমরান খান তাঁর পক্ষে জনসমর্থন বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। ইমরান ষড়যন্ত্র নিয়ে কোনো প্রমাণ হাজির না করতে পারলেও তাঁর সমর্থকেরা কিন্তু তা ঠিকই বিশ্বাস করেছেন।’ আমিও বিশ^াস করেছি ছাত্র-যুব-জনতার রাজনৈতিক মেলবন্ধন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির মত জনতার রাজনীতি করে চলা লোভ- মোহহীন নতুনধারার রাজনীতিক হিসেবে। কেননা, এমন কোনো কারণ নেই যে, ইমরান খানের মত নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাকে জেলে প্রেরণ করার মত ঘটনা ঘটতে পারে। সেই সাথে আরো একটি বিষয় নিয়ে বলতে চাই, আর তা হলো- বিশ^ ষড়যন্ত্রকারী মহলটি প্রভাব তৈরির নিমিত্তে এতটাই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে যে, তাদের নির্দেশনা মেনে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মোট তিনটি কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—কেটি সার্ভিসেস অ্যান্ড লজিস্টিক ও এর প্রধান নির্বাহী জোনাথন মায়ো কিয়া থং। জান্তা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি করছিল। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে মিয়ানমার কেমিক্যাল অ্যান্ড মেশিনারি কোম্পানি ও সানটাক টেকনোলজিসের ওপর থেকেও। এই কোম্পানিগুলো সাধারণত অস্ত্র তৈরি করে। এই দুই কোম্পানির মালিকদের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ভাষায় ‘জান্তা রেজিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা একাধিক কোম্পানির মালিক’ তিন লাত মিনের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিও বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের নির্বাহী পরিচালক আনা রবার্টস বলেন, এটি লজ্জাজনক বিষয়। এই প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সাল থেকে তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও ব্যক্তিদের তালিকা করে আসছে। তাদের লক্ষ্য, এসব ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত করা।
একের পর এক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ থেকে সংকটকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শ্রীলঙ্কার নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্যে রাশিয়ার অবরোধ হয়ত বিশৃঙ্খলায় ভূমিকা রেখেছে। রবিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এখবর জানিয়েছে। এর আগে বিক্ষোভকারীরা সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করার পর রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের কারণে টানা কয়েক মাস ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলে আসছে। ব্যাংকক সফরে সাংবাদিকদের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই এই সংকট সমাধানে কোনও নির্দিষ্ট দলের প্রতি নয়, দেশের মঙ্গলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে অগ্রসর হওয়ার জন্য।’ এভাবে বলা মানে জনতার পক্ষে নয়, প্রভাব তৈরির পক্ষে। যার জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক ছক্কা পেটাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আমেরিকার মত দেশের বিশেষ সেই বাহিনী; যেই বাহিনী নিজেদের দেশের প্রভাব বিস্তারে কোটি কোটি মানুষকে কষ্টের মুখে ঠেলে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হয় না। তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায় হোয়াইট হাউসের কতিপয় ব্যক্তিদের কথা। তারা স্বীকার করেছে ছাত্রদেরকে আন্দোলনে নামিয়ে বাংলাদেশের অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখলদারি নিয়ে হাসিনার সঙ্গে বিরোধ? সমস্ত অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুলল হোয়াইট হাউস।
কথায় আছে না- ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কথা খাই না।’ ঠিক তেমন করেই আগ বাড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জঁ পিয়ের বলেন, ‘আমাদের এতে কোনও হাত নেই। আমাদের জড়িয়ে যে সমস্ত রিপোর্ট অথবা তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য দায়ী নয়। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো।’ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উপর মার্কিন হস্তক্ষেপ মেনে নিলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হতো না! সম্প্রতি রটে যায়, ভারতে ঠাঁই পাওয়া পদত্যাগী বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনটাই বিবৃতি দিয়েছেন। তারপর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা স্ক্যানারে। যদিও হাসিনা পুত্র জয় জানিয়েছেন, তাঁর মা এমন কোনও বিবৃতি দেননি। এমনকী, তিনি এও জানিয়েছেন, ঢাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে কিংবা পরে হাসিনা কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেননি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জঁ পিয়েরের বক্তব্য, ‘বাংলাদেশের মানুষেরই উচিত নিজেদের ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সরকার বেছে নেওয়া। কাকে তাঁরা দেশের নেতা হিসেবে বাছবেন, তা সম্পূর্ণ বাংলাদেশিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এসব হোইট হাউস বললেও বিশ^াস করে না। বরং লড়ে একটু একটু করে উত্তরণের পথে এগিয়ে আসা দেশগুলোর বিরুদ্ধে। যে দেশগুলো দুশ বছর ব্রিটিশদের গোলামি করেছে, নিজেরা অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য লড়াই করেছে ছাত্র-যুব-জনতাকে সাথে নিয়ে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে চেয়েছে, দারিদ্রতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে একটু ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে; সেই দেশগুলোর সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে বছরের পর বছর গোলাম বানিয়ে রাখতে মূর্খতা-দারিদ্রতা-অসুস্থতায় জর্জরিত করে রাখতে ধর্ম-মানবতা-শিক্ষা-সমাজ-সভ্যতার ভেতরে ঘূণপোকা ঢুকিয়ে দিচ্ছে এক এক করে। কোথাও সেই ঘূণ পোকাদের নাম- ড. ইউনূস, কোথাও বালেম, কোথাও অন্য কোনো নাম…