শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা এরদোগানের

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। খবর আনাদোলুর।

এক বিবৃতিতে এরদোগান বলেছেন, ‘গাজায় রক্তপাত বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি অর্জনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের আমি প্রশংসা করি।’

তিনি বলেন, তুরস্ক কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আঙ্কারা ‘সকল পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরার পর এ কথা বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

এর আগে গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এতে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজ আমরা গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও পড়বে।

ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমি আপনার গাজায় যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনাকে সমর্থন করি, যা আমাদের যুদ্ধের লক্ষ্যগুলো অর্জন করে। এটি আমাদের সব বন্দিকে ইসরাইলে ফেরত আনবে, হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং তার রাজনৈতিক শাসনকে অচল করে দেবে এবং নিশ্চিত করবে যে গাজা আর কখনো ইসরাইলের জন্য হুমকি হবে না।

প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস এতে সম্মতি জানালে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব জিম্মি মুক্তি পাবেন।

অপরদিকে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে। সেখানে আমেরিকান, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে, যেটির মূল দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প।

এছাড়া গাজার মানুষ গাজাতেই থাকবেন। তাদের অন্য কোনো দেশে জোরপূর্বক পাঠানোর চেষ্টা করা হবে না।

হামাসের ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রকরণ করা হবে। আর এ কাজে সহায়তা করবে আরব দেশগুলো। তারা হামাসকে নিরস্ত্রকরণে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।