বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

ডিমের হলুদ নাকি সাদা, কোন অংশ শরীরের বেশি উপকারী?

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন
উপকারী

শরীরে প্রোটিনের সবচেয়ে সহজ আর পুষ্টিকর উৎস হচ্ছে ডিম। এটি খুবই উপকারী খাদ্য। এর সাদা অংশে ক্যালরি কম ও কোলেস্টেরল নেই। এজন্য এই অংশ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্যদিকে কুসুমে রয়েছে উপকারী স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ও গুড কোলেস্টেরল। ডিমের সাদা না হলুদ অংশ বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি আদর্শ খাবার হিসাবে ডিমে প্রোটিন ছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একজন ব্যক্তি ডিম কুসুমসহ খাবেন, নাকি কুসুম ছাড়া খাবেন, সেটি কেবলই নির্ভর করছে শারীরিক অবস্থার ওপর।

ডিমের যে অংশ শরীরের বেশি উপকারী

তারা বলছেন, সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন কুসুমসহ ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। একটি ডিমের দুই-তৃতীয়াংশ সাদা থাকে এবং এক-তৃতীয়াংশ থাকে হলুদ বা কুসুম। সাদা অংশে প্রোটিন থাকে এবং কুসুমে ফ্যাট বা স্নেহ,কোলেস্টেরল ও প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ভিটামিন-এ, ডি, ই, কে, ফলেট, লুটেইন, জিয়াজেন্থিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে। মূলত ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকায় কুসুম খাওয়া নিয়ে অনেকে চিন্তায় পড়েন। অনেকেরই ধারণা, কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুসুমে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভালো কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে খুবই উপকারী। কুসমে থাকা অন্যান্য সব উপাদান শরীর ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ডিমের সাদা অংশের উপকারিতা:

১. ডিমের সাদা অংশে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে কেউ ডায়েট করলে পুষ্টিবিদরা তাকে ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ কুসুম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

২. ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের থাকায় এ ধরনের রোগীদের কুসুম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । তবে সাদা অংশে কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ডিমের সাদা অংশ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কোলেস্টেরলের রোগীরা।

কুসুমের উপকারিতা:

১.ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, ভিটামিন রয়েছে। তাই ডিম শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

২.হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ভালো ফ্যাট খাওয়া একান্তই প্রয়োজন। আর কুসুমের মধ্যে পলি ও মনোস্যাচুটেটেড নামে দুই ধরনের ভালো ফ্যাট থাকে। তাই এটি ডায়েটে রাখা উচিত ।