ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে ‘গাজা দখলের অভিযান থামানোর’ নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে এবং সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘আর্মি রেডিও’ এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাবে হামাস জবাব দেওয়ার পর ইসরাইলি সরকারের এ নির্দেশনার খবর সামনে আসলো।
এ বিষয়ে আর্মি রেডিওর সংবাদকর্মী ডরোন কাদোস বলেন, ইসরাইলের ‘রাজনৈতিক মহল’ গাজায় চলা সামরিক কার্যক্রম ‘সর্বনিম্ন’ পর্যায়ে নামিয়ে আনতে এবং শুধু ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কাদোস বলেন, ‘এর বাস্তবিক অর্থ হলো: (গাজা সিটি) দখলের অভিযান বন্ধ রয়েছে এবং আপাতত এটা স্থগিত করা হয়েছে।’
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার আলোকে জীবিত ও মৃত সকল ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি দিতে সম্মত হয় হামাস। একইসঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও প্রশাসনিক হস্তান্তর নিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহও জানিয়েছে তারা।
হামাসের পক্ষ থেকে ইতিবাচক জবাব জবাব আসার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরাইল এখন ‘সব জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্ত করার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে প্রস্তুত।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ও তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাব, যাতে যুদ্ধের সমাপ্তি ইসরাইলের নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে হয়—যা ট্রাম্পের যুদ্ধ শেষ করার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
এদিকে, প্রস্তাবে হামাসের সাড়া দেওয়ার পর ইসরাইলকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেছেন ট্রাম্প।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হামাসের সর্বশেষ বিবৃতি দেখার পর আমার মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছে যে তারা দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এখন ইসরাইলকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে—যেন আমরা সব জিম্মিকে দ্রুত ও নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনতে পারি; এই মুহূর্তে এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমরা ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য শুধু গাজা নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ দিন ধরে প্রত্যাশিত শান্তি স্থাপন।’