শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু

শনিবার, অক্টোবর ৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

তিউনিসিয়ায় নোঙর করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র দুটি ত্রাণবাহী নৌযানে ড্রোন হামলার অনুমোদন দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু— এমনটাই দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের।

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তারা এ তথ্য জানতে পেরেছে।

সিবিএসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তারা বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী একটি সাবমেরিন থেকে ড্রোন উড়িয়ে নৌযান দুটির ওপর দাহ্য বস্তু ফেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।’

ওই সময় নৌযান দুটি তিউনিসিয়ার বন্দরের বাইরে সিদি বউ সাঈদ এলাকায় নোঙর করা ছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই হামলাগুলো গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে চালানো হয়েছিল। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হামলার লক্ষ্য ছিল একটি পর্তুগিজ ও একটি ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও যুদ্ধসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনে নাগরিক জনপদ বা বেসামরিক সম্পদের ওপর দাহ্য অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তবে এ ড্রোন হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান আটক করে। একই সঙ্গে ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল।

তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এ বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।

এই নৌবহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।