তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাতে অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির একটি ‘জানালা’ উন্মুক্ত হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে এক গণ উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, হামাস আগেও বহুবার যেমন করেছে, এবারও শান্তির প্রতি তাদের প্রস্তুতি দেখিয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলি হামলা অবিলম্বে বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি, এবং উদীয়মান এই শান্তির আশাগুলো যেন ম্লান না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা সম্পর্কে এরদোগান বলেন, সব পক্ষ যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে, তাহলে রক্তপাত থামানো ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্পূর্ণ সম্ভব।
তিনি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল গাজা।
তিনি আরও জানান, আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি হামাসের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানায়।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক গাজায় গণহত্যা বন্ধে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং মানবিক সহায়তা থেকে শুরু করে কূটনৈতিক যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই নিজেদের সম্পদ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে।
জাতিসংঘে আঙ্কারা গাজার শিশুদের দুর্ভোগ চিত্রসহ তুলে ধরেছে বলে তিনি জানান, এ বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক নিরপরাধ আরেকজন মানুষের মৃত্যু রোধে এবং গাজার শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে যা কিছু করা দরকার তা করতে থাকবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তুরস্ক ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ যাত্রীদের দেশে আনছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরাইলি বাহিনী জোরপূর্বক ৪৪৩ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।