শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

শিরোনাম

তাইওয়ানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন!

শুক্রবার, অক্টোবর ১০, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

চীন ক্রমবর্ধমানভাবে তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক কর্মকাণ্ড বাড়াচ্ছে এবং নতুন অস্ত্র ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। আর এই প্রস্তুতির মূল লক্ষ্য হতে পারে পার্শ্ববর্তী তাইওয়ানে আকস্মিক হামলার সক্ষমতা অর্জন করা। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক সতর্কতামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং তাইওয়ানের ওপর সামরিক চাপ নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের পর থেকে দ্বীপটির চারপাশে অন্তত ছয় দফা বড় আকারের সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীনা বাহিনী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তাইওয়ানের সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থায় দুর্বলতা খুঁজে বের করতে উন্নতমানের স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষায়, চীন ‘হাইব্রিড যুদ্ধকৌশল’ প্রয়োগ করছে—যার উদ্দেশ্য জনগণের সরকারে আস্থা নষ্ট করা, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে জনসমর্থন কমিয়ে দেওয়া এবং মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করা। একই সঙ্গে তারা ‘গ্রে জোন’ কৌশলও ব্যবহার করছে, যেমন উপকূলরক্ষী টহল বা সামুদ্রিক নজরদারি—যা সরাসরি যুদ্ধ নয়, কিন্তু তাইওয়ানের ওপর ক্রমাগত চাপ বজায় রাখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চীন প্রচলিত ও অপ্রচলিত সামরিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাইওয়ানে আক্রমণ এবং বিদেশি মিত্রবাহিনীর মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই করছে।’

তাইওয়ানের সতর্কবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, বেইজিং হঠাৎ করে কোনো মহড়াকে বাস্তব যুদ্ধ অভিযানে রূপ দিতে পারে—যা তাইওয়ান ও তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলবে। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে।

এছাড়া, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বেসামরিক মালবাহী জাহাজগুলোকে সামরিক পরিবহন কাজে ব্যবহার করছে এবং সৈন্য ও অস্ত্রসজ্জিত যান নামানোর জন্য বিশেষায়িত উপকূলীয় অবতরণ সরঞ্জাম তৈরি করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

চীন শুরু থেকেই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-টে বেইজিংয়ের এ দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার বক্তব্য, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে একমাত্র এখানকার জনগণ, বাইরের কেউ নয়।