আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘোষিত বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। দলটি সোমবার (৪ নভেম্বর) ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এ তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার নাম না থাকায় দলের ভেতরে ও বাইরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার আশা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ওই আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে মো. শরীফুজ্জামানকে।
দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এই নেতা দলের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সমর্থকরা প্রায় নিশ্চিত ছিলেন, এবারও তিনি মনোনয়ন পাবেন। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর হতাশা দেখা দিয়েছে তার অনুসারীদের মধ্যে।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, গত ৫ আগস্টের পর শামসুজ্জামান দুদুর একটি বক্তব্য বিতর্কের জন্ম দেয়। বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতর সমালোচনা হয় এবং তাকে সতর্ক করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্কই তার মনোনয়ন না পাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
শামসুজ্জামান দুদু ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছরের জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় বিজয়ী হন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী দুদু ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জিয়াউদ্দিন ছাত্রদল) কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপির কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


